Wednesday 2 January 2013

কবুতরের ক্যাঙ্কার বা ট্রাইকোমোনিয়াসিস রোগ

ভূমিকাঃ
এই রোগটি Trichomonas columbae এবং Trichomonas gallinae নামক এক প্রকার প্রোটোজোয়া দ্বারা হয়ে থাকে যার নাম canker বা Trichomoniasis । এটা একটা microscopic single-celled organism যা কবুতরের digestive tract –এ বাস করে, বিশেষতঃ throat and crop, এমনকি bile duct-এও থাকতে পারে। পরিবেশে এই জীবানুটি খুবই fragile এবং পাখির দেহের বাইরে কয়েক মিনিট মাত্র বেঁচে থাকতে পারে। আর এটাই রোগটিকে কন্ট্রোল করাতে সাহায্য করেছে এবং আরো একটি সুবিধা হলো যে এর ফলে কবুতরের ঘর থেকে বা আশপাশের পরিবেশ থেকে এ রোগটি সহযে অন্য কবুতরে সংক্রমিত হতে পারে না, যেমনটা হয় কৃমি বা প্যারাটাইফয়েডের ক্ষেত্রে।

কিভাবে ছড়ায়ঃ
কবুতরের ক্যান্সার
জীবানুটি (trichomonad) ছড়ানোর জন্য দুটি কবুতরের মধ্যে একটা intimate contact বা নিবিড় সম্পর্ক থাকতে হবে। সাধারনত লালা বা pigeon milk এর মাধ্যমে এ জীবানুটি ছড়িয়ে থাকে। লালার মাধ্যমে খাবার এবং পানি দুষিত হয়ে পড়ে এবং যখন একটি কবুতর পানি খায় তখন জীবানু মুখ থেকে সাতরিয়ে পানিতে চলে আসে। এরপর যখন আরেকটি কবুতর সেই পানি পান করে তখন সে শুধু পানিই পান করে না তার সাথে জীবানুও ঐ পানির সাথে খেয়ে ফেলে। আবার যখন আক্রান্ত কবুতর শষ্যের দানা বেছে বেছে খায় তখন তার মুখ থেকে যে শষ্যদানাগুলো পড়ে যায় তার প্রত্যেকটির সাথেই অল্প পরিমানে লালা মিশ্রিত হয়ে যায়। এভাবেই খাদ্যের পাত্রেও জীবানু ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক কবুতর থেকে বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময়ও জীবানু বাচ্চার দেহে চলে যায়। তবে এ থেকে রোগ ছড়ানোর পরিবর্তে অনেক সময় বাচ্চাতে এর বিরুদ্ধে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও উৎপন্ন হয়ে থাকে কেননা, feeding এর মাধ্যমে অল্প পরিমান জীবানুই বাচ্চার দেহে প্রবেশ করে যা বরং immunity development-এই বেশি সাহায্য করে। আরেকটি কথা, দেখা গেছে, কবুতর কোন কারনে ধকলে পড়লে এই রোগ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই যদি সেরকম কোন সম্ভাবনা তৈরি হয় তবে আগে থেকেই treatment নেয়া ভালো বলে অনেকেই মনে করেন।
মুখের ভেতর হলুদ রঙ-এর যে বস্তুটি দেখতে পাচ্ছেন ওটাই ক্যাঙ্কারলক্ষণঃ
  • Repeated swallowing movements can be a sign of canker. I usually notice this after the birds land on the loft, after the training
  • yellow stuff in the throat and beak of the bird
  • ruffled plumage
  • apathy of the bird
  • weight loss and weakness
  • increased water intake – this also produces the so called “wet nests” when the parents having canker pump a lot of water in the nestlings
  • the birds are reluctant to fly

রোগটির কিছু form -
Pharyngeal Form: এটাই সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। খামারিগণ সাধারনত তাদের কবুতরের গলায় হলুদ বর্ণের একটা বস্তু দেখতে পান। এটা অনেক সময় এতোই বড় হয় যে তা অনেক সময় খাবার গ্রহণ এমনকি শ্বাস নিতেও বাধা সৃষ্টি করে।
Umbilical canker: সাধারনত সংক্রমিত ঘর থেকে সদ্যজাত বাচ্চাতে এই প্রকারের canker দেখা যায়।
Organ Form: খুব তীব্র রোগে canker দেহের আভ্যন্তরিন অঙ্গ-প্রতঙ্গকে আত্রান্ত করে। প্রায়শই দেখা যায় লিভারে। উদাসিনতা, উসকো-খুসকো পালক, ডায়রিয়া এসব লক্ষণ দেখা যেতে পারে। লিভার অকার্যকর হয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কবুতরগুলো মারা যায়।

চিকিৎসাঃ
Metronidazole এ রোগের বিরুদ্ধে বেশ ভালো কাজ করে। ২০০ মিলি গ্রাম-এর একটি ট্যাবলেট প্রাপ্ত বয়স্ক কবুতরের জন্য চার ভাগের একভাগ করে দিনে একবার করে খাওয়ালেই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আবার সিরাপও ব্যবহার করা যায়। ১০ মিঃলিঃ করে প্র্রতিদিনের খাবার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অসুবিধা হলো পানির স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় বলে অনেক সময় পাখি ওষুধ মেশানো পানি খেতে চায় না। ঔষধের পরিমান বেশি হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে সর্ব অবস্থায় অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ মোতাবেক ব্যবহার করবেন।

1 comments:

buzzard on 29 July 2013 at 18:34 said...

ভাল লিখেছেন । কবুতরের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা এখানে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

 

About

Site Info

Text

কবুতরের বাড়ি Copyright © 2009 Community is Designed by NEROB